উত্তর: শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী দণ্ড কার্যকরের দায়ী নির্বাহী বিভাগের নির্বাহী বিভাগ দণ্ড কার্যকর প্রতিনিধি। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে জল্লাদ যদি দন্ড প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে তাহলে এর দায়ভার জল্লাদের উপর আসবে না বরং বায়তুলমাল ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিবে। আদ্দুররুল মুখতার মাআ রদ্দিল মুহতার ৫/৫২৮, মাজমাউল আনহার ২/৩৫৬, হেদায়া ২/৫২৬
উত্তর: শরয়ী নীতিমালা অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটায় এমন বস্তু দ্বারা কাউকে আঘাত করার দায়ে মৃত্যুদন্ড আসে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে যদি ড্রাইভার ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করে তাহলে তার ওপর কিসাস আসবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে গাড়িতে চাপা পড়ে তাহলে দিয়্যত আসবে। আর দিয়্যতের পরিমাণ হল একশত উট বা তার সমপরিমাণ টাকা […]
উত্তর: শরয়ী দৃষ্টিতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর শাস্তি তিনভাবে করা যায়। ১ শুলিতে দাঁড়িয়ে। ২ তরবারি দ্বারা আঘাত করে। ৩ পাথর নিক্ষেপ করে। সুতরাং আদালত কর্তৃক অপরাধ শনাক্ত করে উল্লেখিত পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে। আলইখতিয়ার ২/৫৫৯, মাজমাউল আনহার ৪/৩১৭, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ১৪/১৫১
উত্তর: শরীয়তের মূল নীতি অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র, আগুন বা মৃত্যু ঘটায় এমন বস্তু দ্বারা হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ড আসে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত এসিড যেহেতু আগুনের ন্যায় তাই এসিড নিক্ষেপ করলে মানুষ মারা যায়। অতএব এসিড নিক্ষেপের শাস্তি মৃত্যুদন্ড নির্ধারণ করা শরয়ী পরিপন্থী নয়। আদ্দুররুল মুখতার মাআ রদ্দিল মুহতার ৪/৫৯, আল ফিকহুল ইসলামী ওয়াআদিল্লাতুহু ৫/৭৯১, মুলতাকিল আবহার […]

উত্তর: হানাফী ইমামগণের মতে ধনী ব্যক্তির জন্য ওয়াক্ফ করা সহিহ নয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে যেহেতু ওয়াক্ফকারী হানাফী মাযহাবের অনুসারী তাই তার ওয়াক্ফ সহিহ হয়নি, অতএব যদি তার ছেলেরা পরবর্তীতে দাবী করে তাহলে ফেরত দেওয়া আবশ্যক। রদ্দুল মুহতার ৪/৩৩৯, ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া ৮/২৫ ইসলাম কা নেজামে আওকাফ ৩৪৪
উত্তর মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জিনিস মসজিদের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার অনুমতি আছে। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে দোকান যেহেতু মসজিদের কল্যাণের জন্য তাই মসজিদ বানানোর পর অবশিষ্ট জায়গায় দোকান বানানো যাবে। আদ্দুররুল মুখতার মাআ রদ্দিল মুহতার ৪/৩৫৭, ফাতহুল কাদির ৬/২২৩, ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া ৫/৭৭
উত্তর: শরীয়তের মূল নীতি অনুযায়ী যে খাতে বা স্থানে ওয়াক্ফ করা হয়েছে সে খাতে বা স্থানে ব্যবহার করা আবশ্যক। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে এক মাদ্রাসায় দান করার পর অন্য মাদ্রাসায় দান করার অনুমতি নেই, তবে যদি প্রথম মাদ্রাসা অনাবাদী হয় অথবা প্রথম মাদ্রাসায় প্রয়োজন না থাকে আর অন্য মাদ্রাসায় অধিক প্রয়োজন হয় তাহলে বিবেচনা সাপেক্ষে […]
উত্তর শরীয়তের মূল নীতি অনুযায়ী ওয়াক্ফ সহীহ হওয়ার জন্য ওয়াকফকৃত জিনিস নিজের মালিকানা হওয়া আবশ্যক। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত কোন পণ্য যেহেতু নিজের মালিকানাধীন নয় তাই তারা সহীহ হবে না। রদ্দুল মুহতার ৪১/৩৪০, আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৮/১৮৪, আল ফিকহুল হানাফী ফি সাউবিহিল জাদীদ ২/৩৬৩

উত্তর: শরীয়তের মূল নীতি অনুযায়ী মৌখিক বা লিখিত ভাবে সুনির্দিষ্ট বাক্য দ্বারা ওয়াক্ফ করা জরুরি। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত মসজিদ মাদ্রাসায় দান করলেই ওয়াকফের অন্তর্ভুক্ত হবে না, তবে যদি কোন এলাকায় এমনই দানকেই বুঝায় তাহলে তা ওয়াকফের সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। মাজমাউল আনহার ২/৫৬৭, বাহরুর রায়েক ৫/৩১৮, ইসলাম কা নেজামে আওকাফ ২৫২
উত্তর: শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাতে ওয়াকফকৃত বস্তু ভিন্নখাতে ব্যবহার করার অনুমতি নাই। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত পারিবারিক কবরস্থান যদি ওয়াকফ হয় তাহলে সেখানে মসজিদের ওজুখানা নির্মাণ করা যাবে না। আর যদি মালিকানা দিন হয় এবং একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে করা যেতে পারে। ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া ৮/১৮৩, আল ফিকহুল হানাফী ফি সাউবিহিল জাদীদ ৩০/৩৭, […]
উত্তর: শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী ওয়াক্ফ সম্পন্ন হওয়ার পর তাতে কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে যেহেতু ওয়াক্ফ সম্পন্ন হয়ে গেছে অতএব তাতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার ওয়াক্ফকারীর নেই। আদ্দুররুল মুখতার মাআ রদ্দিল মুহতার ৪/৩৬০, আল ফিকহুল হানাফী ফি সাওবিহিল জাদীদ ২/৩৭১, কেফায়াতুল মুফতি ১০/২৩৭
উত্তর: ওয়াক্ফ সহীহ হওয়ার জন্য মৌখিক বা লিখিত ভাবে সুনির্দিষ্ট বাক্য দ্বারা জরুরি। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে মনে মনে ওয়াক্ফ করার দ্বারা হবে না বরং সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে ওয়াক্ফ করতে হবে। আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫২১, বাহরুর রায়েক ৫/৩১৭ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ১৫/৪৯০

উত্তর: শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী ওয়াকফকৃত জমিতে বা ওয়াকফকৃত জমির কারণে শুফার দাবি করার অনুমতি নেই। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত মাদ্রাসা যদি ওয়াকফকৃত জমিতে হয় তাহলে শুফার দাবি করা যাবে না তবে যদি ওয়াকফকৃত জমি না হয় নিজস্ব জমি বা ভাড়াটিয়া হয় তাহলে শুফার দাবি করতে পারবে। ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া ১৭/৪, ফাতাওয়ায়ে সিরাজিয়া ৪৫৩, ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ […]
উত্তর শরীয়তের নীতিমালা অনুযায়ী বিক্রিত জমির অধিকার তথা রাস্তায় ইত্যাদিতে শরিক ব্যক্তি শুফার দাবি করার অনুমতি আছে। সুতরাং প্রশ্নের বর্ণিত গলিতে যদি আপনি মালিকানা সূত্রে থাকেন এবং উক্ত ব্যক্তি সুফা না থাকে তাহলে আপনি দাবি করতে পারবেন। জামে তিরমিজি ১/৩৮৯, হেদায়া ৪/৩৮৯, ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া ৬/২৮৫
উত্তর: শরীয়তের পরিভাষায় যে সমস্ত অঞ্চল বা রাষ্ট্র অমুসলিমদের হাতে পরিচালিত হয় ওই সমস্ত অঞ্চল বা রাষ্ট্রকে দারুল হরব বলা হয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত দেশসমূহ কাফেরদের হাতে পরিচালিত হওয়ার কারণে দারুল হারব হিসেবে গণ্য হবে। তবে যে সমস্ত দেশ কোন মুসলিম দেশের সাথে চুক্তিবদ্ধ ওই দেশসমূহে সারিয়া পরিচালনা করা বা এদের সাথে যুদ্ধ করা যাবে […]